ইভটিজিং তদন্ত : মামলা নিষ্পত্তিতে সময় পেলেন বুয়েটের তিন শিক্ষক
ইভটিজিংয়ের অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকে শাস্তি দেয়া নিয়ে বিচারাধীন মামলার বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের কাছ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তদন্তকারী তিন শিক্ষক। এ কারণে তিন ছাত্রীর করা রিট আবেদনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ তিন শিক্ষকের পক্ষে মৌখিক সময় আবেদনে শুনানির পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।
তিন ছাত্রীর করা পৃথক পৃথক তিনটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি চলছে এ আদালতে। আদালতে বুধবার তিন শিক্ষকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আদালত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন বিবেচনায় আপনারা অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকে দোষারোপ করলেন? অভিযোগকারী হয়ে উল্টো আসামি হয়ে গেলো। তাদেরতো (তিন ছাত্রী) ভবিষ্যৎ আছে। তদন্ত কমিটিতে একজন নারী সদস্য আছেন। কিন্তু তাকে তো নারীবান্ধব বলে মনে হয় না। তদন্তকারীরা ইউনিয়নের মতো সাক্ষী বিশ্লেষণ করেছেন। এটা কি বিভাগীয় অনুসন্ধান হলো?
আদালত তিন শিক্ষকের আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফকে এবং শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, জানেন তো, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জজ মিয়া বানানো তদন্ত কর্মকর্তারা এখন কারাগারে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বুয়েটের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আনে তিন ছাত্রী। এ অভিযোগ পাওয়ার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরই মধ্যে তিন ছাত্রী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। এ অবস্থায় এ কমিটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩ জুন প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওইবছর তিন ছাত্রীকে শাস্তি দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তাদের তিন টার্মের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়।
একইসঙ্গে আজীবনের জন্য আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই বছরই রিট আবেদন করেন ওই তিন ছাত্রী। রিট আবেদনে বলা হয়, চাপের মুখে তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
এ রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট তাদের শাস্তি স্থগিত করে এবং রুল জারি করেন। এরই মধ্যে এ রুলের ওপর উভয়পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেছেন। গত ১৮ জানুয়ারি ছিল রায় ঘোষণার দিন। কিন্তু আদালত মামলার নথি (বুয়েটের তদন্ত প্রতিবেদন) পর্যালোচনা করে দেখেন যে, তদন্ত প্রতিবেদনে ইভটিজিংয়ের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।
এটা দেখার পর আদালত ওইদিন এক আদেশে তদন্ত কমিটির তিন শিক্ষককে ২৪ জানুয়ারি আদালতে তলব করেন। তাদের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেন। এরপর থেকে প্রতিটি শুনানির দিন তিন শিক্ষককে হাজির থাকতে হচ্ছে।
এফএইচ/জেডএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ গুলশানে গুলির ঘটনা ঘটেনি, ফুটেজ দেখার অনুরোধ সাবেক ওসি মাজহারের
- ২ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- ৩ ‘জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে’
- ৪ বেনজীর ও মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলার প্রতিবেদন ১১ মার্চ
- ৫ আদালত-বিচারকের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়ে চিঠি