ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার সাত বছরের শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তি উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে (২০০১ থেকে ২০০৬ সাল) ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে ও অন্যকে লাভবান করার জন্য জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা চাই।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা প্রদান করেন খালেদা জিয়া। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মোশাররফ হোসেন কাজল এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন, শেষ করেন ২টা ৫৮ মিনিটে।

আদালতে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ করেন তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। এরপর তিনি খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থে এ ট্রাস্ট গঠন করেন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় তিনি পেশার কথা লেখেননি। তিনি সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এর আগে, গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। অপরদিকে খালেদাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জেএ/এআরএস/এনএফ/আরআইপি/এমএস

আরও পড়ুন