মুক্তিতে বাধা কাটল আপন মালিক দিলদারের
অর্থ পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে। পার্সপোর্ট জমা রাখার শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর ফলে আপন জুয়েলার্সের মালিক ও রেইন ট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদের বাবার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জোসনা পারভীন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউনুফ মাহমুদ মোরশেদ।
এর আগে অর্থপাচারের আরও দুই মামলাতে জামিন পেয়েছেন দিলদার। ফলে এবার আর দিলদারের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এরপর মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯ টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিন ভাই হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিল হাই কোর্ট। তারপর গত ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট তিন ভাইকে তিন মামলায় জামিন দেন।
এফএইচ/এনএফ/এমএস