ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

গ্যাটকো মামলা : আইনজীবীর মাধ্যমে খালেদার হাজিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন। আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়াউদ্দিন জিয়ার মাধ্যমে এ হাজিরা দিয়েছেন তিনি।

আজ (রোববার) মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সে মোতাবেক আইনজীবীর মাধ্যমে খালেদা হাজিরা দিলেও অন্য আসামিরা সময়ের আবেদন করেন।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ গঠনের জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

খালেদার আইনজীবী জিয়াউদ্দীন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

পরে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো। এর তিনদিন পর খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বেআইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ পরে আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়।

দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাইকোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন এবং মামলাটি কেন বাতিলের নির্দেশ দেয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী।

তবে মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ২০।

জেএ/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন