ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের পরিকল্পনা নেই : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮

মাজদার হোসেন মামলার রায়ে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের কথা বলা হলেও তা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বিশ্বের ১৯৩টি গণতান্ত্রিক এবং অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কোথাও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই। আমার মনে হয়, এ দাবিটা অবাস্তব। তবে ভবিষ্যতে হবে কি-না তা বলতে পারব না। কিন্তু বর্তমানের এটা অবাস্তব ধারণা।

রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দেখেন রিভিউ করার অধিকার সংবিধান প্রত্যেককে দিয়েছেন। সেখানে সরকারকে কিন্তু বাদ দেয়নি। সেই অধিকার নিয়ে আমরা রিভিউ করেছি। আপিল বিভাগ যখন মনে করবেন তখন শুনানি করবেন, তারিখ দেবেন। এখন যেহেতু রিভিউ করেছি সেটা আপিল বিভাগের ওপর ছেড়ে দেব। সে ক্ষেত্রে আমরাও চাই এ মামলার বিতর্কের অবসান হোক । এটুকুই বলতে পারব। কারণ মামলাটি এখন সাবজুডিস হয়ে গেছে, এর বেশি বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শৃঙ্খলাবিধি করতে সেভাবেই করা হয়েছে। বিজ্ঞ অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা নির্ধারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে একটা ক্ষমতা দেয়া। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতির কাছে এ ক্ষমতা থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। ঠিক সেভাবেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কিন্তু এ শৃঙ্খলাবিধি করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের কথা যেটা বলা হচ্ছে। সেখানে আমি দুটো কথা বলি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরে দেশে একটা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল। সেটা কিন্তু ২১ বছর বিদ্যমান ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরেও কোনো মামলা হয়নি। কেউ স্বপ্রণোদিত হয়েও রিট দায়ের করেননি।

অনেকেই বলেন, ১৯৭২ সালে যে ১১৬ অনুচ্ছেদ ছিল সেখানে ফিরে যাওয়া এবং আলাদা বিচারিক সচিবালায় করা। এ বিষয়ে প্রথমে আমি বলতে চাই এসব প্রেক্ষাপটে আমাদের মনে হয় যেই অবস্থা বিদ্যমান আছে সেটাই বিচার বিভাগের জন্য শ্রেয়।

প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।

এফএইচ/এমবিআর/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন