ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ : আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার শেখ আব্দুর রহিমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট ও আগুন দেয়াসহ ছয় অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জনান সংস্থার প্রধান আব্দুল হান্নান খান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. হেলাল উদ্দিন।

আব্দুল হান্নান খান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুট ও আগুন দেয়াসহ ছয় অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ২২ জনকে হত্যা এবং ৫৬-৬৭টি বাড়ি লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে মোট পাঁচটি ভলিউমে ৭৩০ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে বলেও জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। বেশির ভাগ আসামিই সে সময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানানো হয়।

মামলায় শেখ আব্দুর রহিম (৬৮) ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- সামছুর রহমান গাজী ওরফে মেঝো ভাই (৮২), মো. ওমর আলী ফকির (৭০), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. আক্কাস সরদার (৬৮), নাজের আলী ফকির (৬৫), মো. শাহজাহান সরদার (৭৫), আব্দুল করিম শেখ ওরফে আব্দুল মেম্বার (৬৫), আবু বক্কার সরদার (৬৭), মো. রওশন গাজী ওরফে রওশন মল্লিক (৭২) ও মো. সোহরাব হোসেন সরদার ওরফে মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ (৬২)।

অভিযুক্ত ১১ আসামির মধ্যে নয়জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আসামি শেখ আব্দুর রহিম ও মো. ওমর আলী ফকির এখনো পলাতক।

তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. হেলাল উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করে ২৬ ডিসেম্বর শেষ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও জব্দ তালিকার তিন সাক্ষীসহ মোট ৪৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

তদন্তে খুলনা জেলার রাজাকারের তলিকা, ১৯৭১ সালে খুলনার আনসার ক্যাম্প (ভূতের বাড়ি), পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর কাছে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর ট্রেনিংয়ের তালিকা এবং একাত্তর সালে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্র সাক্ষ্য হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এফএইচ/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন