ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রাজসাক্ষী হতে চান মানবতাবিরোধী মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৬ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার পাগলা অঞ্চলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি আব্দুল লতিফ দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার রাজসাক্ষী আবদুল লতিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শুকুর আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। এর আগে গত ২২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি আব্দুল লতিফ। একই মামলায় মোট ১১ জন আসামি রয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘঠিত হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মুক্তিপণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে গফরগাঁওয়ের খলিলুর রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় আব্দুল লতিফ ছিলেন একজন পলাতক আসামি। মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারির পর গত ২২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন আবদুল লতিফ। ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফ রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। আজ নির্ধারিত দিনে বিষয়টির শুনানির জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। খলিলুর রহমানসহ এ মামলার মোট আসামি ১১ জন। এর মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার আছেন, বাকি পাচঁজন পলাতক।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মো. খলিলুর রহমান, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. রইছ উদ্দিন, আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ও আব্দুল লতিফ। পলাতক ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন, এ এস ফয়েজুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, আলীমুদ্দিন খান, নুরুল আমিন সাজাহান ও সিরাজুল ইসলাম।

মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও পাগলা ধানাধীন ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিগুয়ারি ইউনিয়নের সাধুয়া ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কোনো আসামি এই প্রথম রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন।

এফএইচ/আরএস/ওআর/জেআইএম/আইআই

আরও পড়ুন