যৌতুকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন ক্রিকেটার সানি
ভুল তথ্য প্রদান করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবং তার মা নার্গিস আক্তারকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসুম ইসলাম তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন।
এর আগে ১৭ আগস্ট অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সানি ও তার মাকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াহিয়া।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলা তিনি উল্লেখ করেছেন, আরাফাত সানির সঙ্গে মামলার বাদীর যে বিবাহ ও কাবিন হয়েছে তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সানি ও নাসরিন একটি হোটেলে যাতায়াত করতেন। যে রেস্টুরেন্টে তাদের বিয়ে হয়েছে তার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। সানির মা নার্গিস সুলতানা লোকজনকে নিয়ে মামলার বাদীকে মারধরের কথা বলেছেন তারও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, মামলার বাদী ভুল তথ্য প্রদান করে মামলাটি দায়ের করেছেন। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০১৩) এর ১১(গ) ৩০ ধারা মতে, আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে ৫ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় রেখে যান।
পরবর্তীতে নাসরিন সানির সঙ্গে দেখা করলে সানি তাকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি খারাপ হবে। কারণ, তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এরপর তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না, তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর। তখন বাদী তার বাসায় চলে যান।
ওই ঘটনায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। এর আগে ভিন্ন ধারায় আরও দু’টি মামলা করেন নার্গিস।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেন।
জেএ/এসএইচএস/জেআইএম