ম্যাপল লিফের নতুন অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব
আদালতের আদেশ থাকার পরও ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা থেকে ম্যাপল লিফ স্কুল না সরানোর কারণে স্কুলের নতুন অধ্যক্ষ আলী কারাম রেজাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ ডিসেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে তাকে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে ধানমন্ডির দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ এবং এম এ মতিন হাইকোর্টে ২০১১ সালের রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন রায় দেয়া হয়। রায়ে তিন বছরের মধ্যে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। তবে ইতিপূর্বে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমন্ডি-২, ২৭ নম্বর সড়ক, সাতমসজিদ ও মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল। পরে ২০১৬ সালের ১ আগস্ট আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
কিন্তু আদালতের রায় কার্যকর না হওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৩১ মে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ ম্যাপল লিফের অধ্যক্ষকে গত ৪ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেন। রুলে আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাকে অভিযুক্ত করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার মনজিল মোরসেদ বলেন, জুলাইতে তৎকালীন অধ্যক্ষ জেবা আলী আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেছিলেন তিনি এখন আর দায়িত্বে নেই। এখন দায়িত্বে তার ছেলে আলী কারাম রেজা। আজ আদালত আলী কারামকে ১২ ডিসেম্বর হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মূল মামলায় হাইকোর্টর রায়ের ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে রাজউকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমন্ডি এলাকায় ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখা রয়েছে। তিন বছরের মধ্যে স্কুলের শাখাগুলো একত্র করে অন্যত্র সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শাখাগুলো স্থানান্তর না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুলকর্তৃপক্ষকে নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ভবিষ্যতে সিটি কর্পোরেশন বা রাজউককে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দিতে বলা হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৫ সালে তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন যেহেতু আপিল বিভাগে আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।
এফএইচ/জেডএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ ট্রাইব্যুনালে গুম-নির্যাতনের অভিযোগ দিলেন শিবিরের ৭ নেতাকর্মী
- ২ হাসিনার ২ উপদেষ্টা ও ১০ সাবেক মন্ত্রীর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা কাল
- ৩ কারাগারে পাঠানোর আদেশ শুনে পালালো আসামি, পুলিশের ২ সদস্য বরখাস্ত
- ৪ খালেদা জিয়াসহ আটজনের মামলায় আরও সাতজনের সাক্ষ্য
- ৫ হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশ টিভির এমডি আরিফ ২ দিনের রিমান্ডে