লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
নোটিশ ছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশানের দুটি শাখাসহ লেকহেড গ্রামার স্কুলের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বন্ধের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির নতুন মালিক খালেদ হাসান মতিনসহ ১২ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আখতার ইমাম রিটের ওপর শুনানি করবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ধানমন্ডি ও গুলশানের দুটি শাখাসহ লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন নেয়নি।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষক রেজোয়ান হারুন সম্প্রতি লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে লাপাত্তা হয়ে যান। এখন পর্যন্ত তাকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার বা খুঁজে পায়নি।
রেজোয়ানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও মদদের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে রেজোয়ান হারুনকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ধানমন্ডির ৬/এ সড়কে প্রতিষ্ঠিত হয় লেকহেড গ্রামার স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির গুলশানে আরও দুটি শাখা রয়েছে।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি