জুয়ায় বাধা : নাসিম হত্যার প্রতিবেদন ১০ ডিসেম্বর
রাজধানীর বাড্ডায় বিপিএল খেলা নিয়ে রমরমা জুয়ায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাসিম আহমেদ এমাজউদ্দিন (২৪)। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার এজহার গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরি এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে সোমবার রাতে বাড্ডা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আলী আহমেদ সাইফ উদ্দীন (মামলা নং ৭)। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৩০২/৩৪ ধারায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো আসিফ শিকদার (২১), রজমান আলী (৩৮) ও আব্দুর রশিদ (৫০)।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন পোস্ট অফিসের গলির ৩৭৫ নং দাগের ৪ নং নিজ বাসার সামনে নাসিমের গলায় ও কোমরের ৩ স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই ইম্পেরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাবিল আহমেদ জানান, সন্ধ্যার পর বোর্ড (ক্যারাম বোর্ড) ঘরে ক্যারাম খেলতেন নাসিম ভাইয়া। রোববার রাতে তিনি (নাসিম) ক্যারাম খেলতে গিয়ে দেখেন সেখানে বিপিএলের ম্যাচ নিয়ে রমরমা জুয়া চলছে। এতে বাধা দেন তিনি। বাধার মুখে রমজান আলী, আসিফ, রশিদ, শহীদুল ও রফিক নামে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় নাসিমের। ঘটনা হাতাহাতি পর্যন্তও গড়ায়।
নাবিল আরও জানান, বাবা বিষয়টি আপস করতে গেলে রমজান ও রশিদ তাকে মারধর করেন। মহল্লার বড় ভাইরা
এ ঘটনা মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার সকালে ভাইয়াকে বাসার নিচে ছুরিকাঘাত করে আসিফ আর সহযোগিতা করে রমজান ও রশিদ।
জেএ/এমএমজেড/আইআই