১১ সাক্ষী নিয়ে খালেদার আপিল পরবর্তী শুনানি সোমবার
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা লিভ টু আপিল আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার আবারও দিন ঠিক করেছেন আাদালত।
রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত (২ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আজ রোববার দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। এর আগে (১ নভম্বর) বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য (২ নভেম্বর) দিন নির্ধারণ করে আপিল বিভাগের (নিয়মিত) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
গত ২২ অক্টোবর ১১ সাক্ষীকে জেরা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে খালেদা জিয়া চাইলে এই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে করা জেরা ব্যবহার করতে পারবেন বলে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
পরে খালেদার আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। পরে ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং ৯ সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুদক।
গত ২৭ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন নাকচ করেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সাক্ষী হলো- ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৬, ২২, ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর।
এরপর ওই খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়ার পর তা নিয়ে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।
এফএইচ/এসএইচএস/এমএস