বিশ্বজিৎ হত্যা : আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ
পুরান ঢাকার দর্জি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। রায়ে খালাস পাওয়া ও যাদের সাজা কমানো হয়েছে তাদের দণ্ড বাড়ানোর জন্য এ আপিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজীবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেয়েছে। এখন রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর তা পর্যলোচনা করে সাজা হ্রাস ও খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আপিলের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে নোট দেয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আটজনকে ফাঁসি ও ১৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। ওই ডেথ রেফারেন্স ও আসামি পক্ষের করা আপিলের রায়ে হাইকোর্ট রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল ও রাজন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন ও মীর মো. নূরে আলম লিমনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া টিপু এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এএইচএম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে খালাস দেয় আদালত।
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, এটা চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। এ মামলায় নিম্ন আদালতের সাজা যাতে বহাল থাকে আপিলে সে আবেদনই জানাবে রাষ্ট্রপক্ষ।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা ওই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
এফএইচ/এএইচ/আরআইপি