‘প্রধান বিচারপতিকে বিদেশে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে কৌশলে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হলেও আইনজীবীদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আইনের শাসন ফিরে না আসা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সিমিতি ভবনের সামনের চত্বরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সিমিতি (বার) আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা দলকে রক্ষায় আন্দোলন করছি না, বিচার বিভাগ রক্ষার আন্দোলন। বিচার বিভাগ যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
বারের সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। তাকে জোর করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তৈমুর আলম খন্দকার, গোলাম মো. চৌধুরী আলাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, আবেদ রাজা, মনির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মির্জা আল মাহমুদ, মো. আহসানউল্লাহ, শরীফ ইউ আহমেদ প্রমুখ।
জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে আইন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশে। বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে রাখার প্রথম ধাপ হলো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।
তিনি বলেন, সরকারের এপিপি, জিপি, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা আইনের শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আইনমন্ত্রী স্বীকার করেছেন প্রধান বিচারপতি জিও তে স্বাক্ষর করেননি। ব্যক্তিগত সহকারী কর্মকর্তা চিঠি লিখেছেন। প্রধান বিচারপতিকে গৃবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে জোর করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে অবৈধ কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। পাকিস্তান থেকে এ পর্যন্ত গত ৭০ বছরেও বিচার বিভাগে এমন হয়নি।
তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেলরা সরকারি চাকরি করেন। আপনারা পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতিকে গ্রেফতার করতে পারেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতির পদ সমুন্নত না থাকলে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার থাকবে না।
তিনি আওয়ামী আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা পুলিশ প্রহরায় আসেন। পুলিশ প্রহরায় এসে ধমক দিবেন তা মেনে নেয়া যায় না। ভবিষ্যতে ধমক দিলে আইনজীবীরা এর কড়া জবাব দেবে।
মানববন্ধন থেকে আগামী রোব ও সোমবার দেশের সকল জেলা বারের পক্ষ থেকে জেলা জজ ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি এবং সুপ্রিম কোর্ট বারে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এফএইচ/এএইচ/আইআই