প্রধান বিচারপতির ছুটি : পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের কর্মসূচি
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সরকার এবং বিরোধী সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রোববার দুপুরে পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচি পালন করেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।
সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সমিতির ভবনের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি অজিউল্লার নেতৃত্বে সরকার সমর্থক আওয়ামী আইনজীবী সমিতির উত্তর হলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
মানববন্ধনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশে আজকের সঙ্কট হলো সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না তার সঙ্কট। একটি রায়কে (ষোড়শ সংশোধনী) কেন্দ্র করে…যেহেতু এ রায় সরকার পছন্দ করেনি। আজকে সেই রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকার এবং সরকারি দলের নেতারা যে আচরণ করেছেন তা নজিরবিহীন।
মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে চাপ দিয়ে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এটা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উপরে হামলা। এ হামলা নগ্ন হামলা, এটা আওয়ামী হামলা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ, গোলাম মো. চৌধুরী আলাল, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, সমিতির সহ-সভাপতি উন্মে কুলসুম রেখা, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোহাম্মদ আলী, রুহুলকুদ্দুছ কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, আরিফা জেছমিন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আওয়ামীপন্থীদের সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সহ-সভাপতি মো. অজি উল্লাহ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক আমাদের কোণঠাসা করে রাখতে চান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মো.অজি উল্লাহ বলেন, সভাপতি ও সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নামে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে শনিবার (৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। রাষ্ট্রের ভিভিআইপি ব্যক্তি হিসেবে প্রধান বিচারপতির জীবনযাপন কার্যপরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রটেকশন ও প্রটোকল রয়েছে। এটা ভঙ্গ করে তার অনুমতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ বা দেখা করতে পারেন না।’
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে বিচারকার্য পরিচালনা সংক্রান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করা। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্ত কোনো বিবৃতি ও বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম