ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৯ প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাজীপুর, ভোলা, ফেনী, সিরাজগঞ্জসহ মোট ৯টি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন ও বিল্ডিং তৈরি সংক্রান্ত ই-টেন্ডারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে, অবকাশ শেষ হওয়ার পর একমাস পর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপন করার জন্য। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন।

পৃথক পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হেসেন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামরুজ্জামান কচি ও এআরএম কামরুজ্জামান কাকন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরদার খোরশেদ আলম।

এই ৫টি টেন্ডার হল ২৭ আগস্টের নোয়াখালি, ফেনী ও নরসিংদী জেলার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র, ২৪ আগস্টের গাজীপুরের কাপাসিয়া নার্সিং কলেজের হোস্টেল ভবন বর্ধিতকরণ, ২০ আগস্টের ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার স্বাস্থ্য উপজেলার ৫০ থেকে ১০০ শয্যা বর্ধিতকরণ, ১৭ আগস্টের রংপুর জেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নীতকরণ ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেডিকেল এসিসট্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (এফডব্লিউভিটিআই) ও ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নীতকরণ কাজের ই-টেন্ডারের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, টেন্ডার সিডিউলের কাজের জন্য কোন ধরনের মূল্যই নির্ধার্যণ করা হয়নি। এমনকি পিডাব্লিউর নিয়মও ফলো করা হয়নি।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬-এর ১৫ ধারা অমান্য করে এই টেন্ডারগুলোর সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে কাজের মূল্য তালিকা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের মূল্যতালিকা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি এ সব কাজের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্ধারিত বিধিও অমান্য করা হয়েছে।

তাই ওই সিডিউল চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সচিব, পরিকল্পনা সচিব, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন