ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভেজাল প্যারাসিটামলে ২৮ শিশুর মৃত্যু : স্বাস্থ্য সচিবকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৭

রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে ২৮ শিশুমৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল হককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় তাকে ২৩ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে ৩ আগস্ট মামলা পরিচালনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ২ কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে স্বাস্থ্যসচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে বলা হয়েছিল।

এর ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসচিবের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন ও সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় নতুন একটি আবেদন করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের মনজিল মোরসেদ।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে অবহেলার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসচিব যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, ওই কর্মকর্তাদের মাফ করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বাস্থ্যসচিবকে ২৩ আগস্ট আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।’

২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে সারা দেশে ২৮টি শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় রীড ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে আসামি করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে একটি মামলা করেন।

বাকি ৪ আসামি হলেন- মিজানুরের স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক শিউলি রহমান, পরিচালক আব্দুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

আরও পড়ুন