ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাত খুন : ২২ আগস্ট রায়, ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা স্বজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার আসামিদের (বিচারিক) নিম্ন আদালতের দেয়া রায় শাস্তি বহাল থাকবে এবং ন্যায়বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা। রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তারা।

রোববার নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে রায় ঘোষণা না হলেও তারা এই প্রত্যাশা করেন মিডিয়ার সামনে।

সকাল সাড়ে ১০টার পরে এজলাস কক্ষে বিচারপতিরা আসন গ্রহণ করার পর রায় না দিয়ে ২২ আগস্ট পরবর্তী দিন ঠিক করেন।

মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেন, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে কেউ সাহস পাবে না। ভয় বা কোনো শঙ্কা কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ততটা নয় একটু স্বাভাবিক। কিন্তু ভয়ও কাজ করছে, শত্রু তো শত্রুই।

তিনি আরও বলেন, ‌‘নিম্ন আদালতে দেয়া রায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে’ এই প্রত্যাশা করছি। সারা বিশ্ব ও দেশবাসী এই রায়ের দিকেতাকিয়ে আছে।
নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক কর্মকর্তাসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসি বহাল থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রায় বহাল চান তাজুলের বাবা :
নিহত তাজুলের বাবা আবুল খায়ের বলেন, আমাদের তো কিছু পাওয়ানেই, যা হারিয়েছি তা তো আর ফিরে পাব না। এখন নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে যে ফাঁসির রায় দিয়েছেন সেটা যেন কার্যকর হয়। এখন উচ্চআদালতে এ রায় বহাল থাকবে এটাই আমার চাওয়া ও প্রত্যাশা। এটা শুধু আমাদের পরিবারের নয়, দেশের মানুষের আশা।

জাহাঙ্গীরকে খোঁজে তার সন্তান :
সাত খুনে নিহত গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সামসুন নাহার বলেন, ‘আমার স্বামীর তো কোনো দোষ ছিল না। তাকেসহ সাতজন মানুষকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হলো। আমাদের সাতটি পরিবার তছনছ হয়ে গেল। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার মেয়ে ওর বাবাকে দেখতে পারল না। মেয়েটা বাবার ছবি ধরে শুধু কাঁদে।’

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় করা মামলার রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।

এফএইচ/জেএইচ

আরও পড়ুন