বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাবের বিচার চলবে
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলা বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের জারি করা রুল ও মামলার কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিল করে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও একেএম ফজুলল হক। ঝিনাইদহ- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক।
খুরশিদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে গেছে। ফলে যশোর বিশেষ আদালতে এ মামলা চলতে কোনো বাধা নেই।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ এপ্রিল আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এবং ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৭ টাকার মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করে দুদক।
২০০০৯ সালের ৪ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ২২ নভেম্বর তা আমলে নিয়ে বিচারকাজ শুরু করে যশোর বিশেষ জজ আদালত।
পরবর্তীতে মামলা বাতিলের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন ওহাব। হাইকোর্ট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ মামলা স্থগিতাদেশ দিলেও রায়ে আবেদনটি খারিজ হয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট আবেদনটির শুনানি নিয়ে ১৮ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে গত ১১ জুলাই বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ রুলজারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ দেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক। বুধবার চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
সোমবার আপিল বিভাগ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে রায় দেন। যশোর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। মোট ২১ সাক্ষির মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এফএইচ/এমএআর/এমএস