আইনমন্ত্রীর খসড়া গ্রহণ করেনি আপিল বিভাগ
অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত বলেন, আইনমন্ত্রী যে খসড়া জমা দিয়েছেন তা আপিল বিভাগের পরামর্শ মতো হয়নি। আমরা এটা গ্রহণ করছি না। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা হবে।
বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ করা সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার শুনানিতে রোববার আদালত একথা বলেন।
এদিকে, এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। আদালত তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন আমরা বৈঠক করি। বৈঠকে প্রধান বিচাপরতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা থাকবেন। সরকারপক্ষে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কাউকে রাখতে পারেন।
আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার যেকোনো দিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে বলে মন্তব্য করেন আদালত।
এর আগে ২৩ জুলাই শুনানি শেষে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে আজ শুনানির নির্দেশ দেন আদালত। পরে ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় তার সঙ্গে দেখা করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
ওইদিন তিনি জানান, নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিধির খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দিয়েছি। এখন ওনি (প্রধান বিচারপতি) সেটা দেখবেন, তারপর নিয়ম অনুযায়ী খসড়াটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতির যদি কোন সুপারিশ থাকে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তিনি এই বিষয়টি দেখবেন এবং সেটার গেজেট চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করা হবে।
এর আগেও গেজেট প্রকাশে দফায় দফায় সময় নেয় সরকার। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তা না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের ২ সচিবকে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
এফএইচ/এসআর/এমএস