ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির খসড়া প্রধান বিচারপতির হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৭

অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের জন্য তৈরি খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতি দেখার পর নিয়ম অনুযায়ী তা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের এক বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার কাছে বিধিমালার খসড়া হস্তান্তর করেন। বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী জানান, আজকে আমি বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন তিনি দেখবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

আজ বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবারও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে সরকার। নিম্ন আদালতের এই বিধিমালার গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষকে ২২ বার সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে।

এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদী পক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করা হয়।

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়।

কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাতদিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

এফএইচ/ওআর/জেআইএম

আরও পড়ুন