কিছু মামলার কারণে ৫৭ ধারা প্রশ্নবিদ্ধ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ৫৭ ধারায় কিছু মামলা হওয়ার কারণে এই ধারাটি প্রশ্নবিদ্ধ। তবে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী শাস্তি কতটুকু তা নির্ধারণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট ইলেকট্টনিক সিগনেচার বৈধতা দেয়ার জন্য করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। তারপর দেখা গেল, সাইবার ক্রাইম হওয়া শুরু হয়েছে এবং তখন তড়িৎ একটা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন আইনটা সংশোধন করে ৫৭ ধারা ঢোকানো হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ৫৭ ধারা নিয়ে কথা বলছেন, তাদের প্রথম কথা ছিল, এই ধারায় শাস্তি যেটা কঠোর। সেক্ষেত্রে আমরা তখন বলেছিলাম এই যে বেইজমেন্ট সেটা দূর করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই এবং আমিও বিশ্বাস করি সাইবার ক্রাইম কিন্তু হচ্ছে। সেই অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এই রকম অপরাধে কি রকম শাস্তি হবে সেগুলির ব্যবস্থা রাখব এবং এটাও মনে রাখতে হবে যদিও আমি মনে করি যে, কিছু মামলার কারণে এই ধারাটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
আমরা যেটা করব সেটা হচ্ছে, এই অপরাধগুলো স্পষ্ট করব। অপরাধটা ১৬ কোটি মানুষের জন্যে। এই অপরাধটা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে না। যারাই অপরাধ করবেন তাদেরকেই এর আওতাই আনা হবে। কিন্তু যেটা আমরা করব সেটা হচ্ছে, আমরা অপরাধ পরিষ্কার করব। আমরা চিন্তাভাবনা করছি যে এটার শাস্তির বিষয়ে একটা বক্তব্য থাকবে। আর সেটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আপনারা দেখবেন।
এফএইচ/ওআর/বিএ