ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মেয়েকে ধর্ষণ : সৎবাবা রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৭

আট বছর ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে সৎবাবা আরমান হোসেন ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে (৩৮) দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ঘটনার মূল্য রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আট বছর ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিলেন সৎবাবা। শুধু তাই নয়, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে মেয়েটির এক বন্ধুকেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা থানায় বাবার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন এই হতভাগা মেয়ে। মামলার পর বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মেয়েটির সৎবাবা আরমান হোসেন ওরফে সুমন (৩৮) বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী।   

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ধর্ষণের অভিযোগ আনা বাদীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। আপাতত ভিকটিম এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ধর্ষণ ও সাইবার ক্রাইমের অপরাধে দায়ের করা মামলা নং- ১৩। মামলাটি তদন্ত করছে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট। 

থানা সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে ওই মেয়ে অভিযোগ করেন, প্রথম বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। বিয়ের বছরখানেক পর মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন।

২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে মেয়েটিকে বাবা আরমান প্রথম ধর্ষণ করেন। তখন মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। ওই সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন মেয়েটি।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেয়েটি। পরে বাবার চাপেই গর্ভপাত ঘটান। এরপরও থেমে ছিল না তার ওপর নির্যাতন। বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিকটাত্মীয়ের বাসায় চলে যান মেয়েটি। সেখানেও পাঠানো হয় কুপ্রস্তাব। মেয়েটির এক বন্ধুকে আপত্তিকর ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পাঠান আরমান। এছাড়া আরমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে দুটি নকল আইডি খুলে মেয়েটি তার ছবিযুক্ত করার অভিযোগ আনেন।

ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এ ধরনের একটি ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।  

এ ঘটনা সম্পর্কে আরমান হোসেনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেএ/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন