৩৩ পেয়েও অকৃতকার্য : কারণ জানতে চায় হাইকোর্ট
‘গণিতে পাস নম্বর থাকার পরও এসএসসি পরীক্ষায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৮ শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বন্দর গার্লস স্কুলের অধ্যক্ষসহ ৯ জনকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রুল জারি করেন।
আজ দুপুরে রিটকারীদের আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আইন বহির্ভূতভাবে গণিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মারিয়া ইসলাম, রোকেয়া আক্তার বিথী, সুমাইয়া আক্তারসহ ১৮ পরীক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেন।
আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী জানান, গ্রেড সিস্টেম অনুযায়ী কোনো বিষয়ে ১০০ মার্কের মধ্যে ৩৩ মার্ক পেলে তা ডি গ্রেডের অর্ন্তভূক্ত হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ বন্দর গার্লস স্কুলের এই ১৮ পরীক্ষার্থী গণিতে ৩৩ প্লাস মার্ক পেলেও তাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যা আইনের লঙ্ঘন। এছাড়া মারিয়া ইসলাম, রোকেয়া আক্তার বিথীসহ ১৮ পরীক্ষার্থী অন্যান্য বিষয়ে এ প্লাস, এ গ্রেড নম্বর পেয়েছেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, এসএসসির গণিত পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষা শুরুর সময় আইন বহির্ভূতভাবে সিট পুন:বিন্যাস করা হয়। এতে এমসিকিউয়ের ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে ২০ মিনিট নষ্ট হয়। কিন্তু কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি পরীক্ষার্থীদেরকে ওই ২০ মিনিট সময় পরবর্তীতে দেননি। এটাও আইনের লঙ্ঘন।
এফএইচ/এমএমজেড/জেআইএম