২১ আগস্ট গ্রেনেড : নিজেদের নির্দোষ দাবি করলো আরও তিনজন
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করলো হরকাতুল জিহাদের তিন সদস্য। তারা আদালতের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন।
বুধবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিনের আদালতে হরকাতুল জিহাদের সদস্য হরকাতুল জিহাদ নেতা মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ আত্মপক্ষের সমর্থন করেন। আদালত পরবর্তী আসামিদের আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্য ২০ জুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে হরকাতুল জিহাদের সদস্য শাহদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, আব্দুল মাজেদ ও আব্দুল মালেক আত্মপক্ষের সমর্থন করেন। তারা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিনশতাধিক নেতাকর্মী।
ওই ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পুলিশের তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরে মামলাটি যায় সিআইডিতে। ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। তবে মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবির সদস্য শহিদ শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তার নাম বাদ দেয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৪৯।
৪৯ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন। জামিনে রয়েছেন ৮ এবং কারাগারে ২৩ জন।
জেএ/জেএইচ/এমএস