আদালতে হাজির হননি ‘অসুস্থ’ ফখরুল
শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে আজ (রোববার) তিন মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিন নাশকতার দুই মামলা ও মানহানির এক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
শারীরিকভাবে ‘অসুস্থ’ ফখরুল আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়- মির্জা ফখরুলের হার্টের সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলা তিনটি হলো
পল্টন থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ মার্চ হরতাল-অবরোধ চলাকালে পল্টন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
শাহজাহানপুর থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ মার্চ হরতাল চলাকালে শাহজাহানপুর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন মুন্সী ২০১৩ সালের ২০ মার্চ মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস ও আমানউল্লাহ আমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মানহানির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে খুনির দল বলে উল্লেখ করেন। এ খবরটি ২৫ আগস্ট বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এতে বাদীর মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তিনি মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নুর-ই আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
জেএ/বিএ/আরআইপি