ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নিয়ে করা রিট শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩০ এএম, ২৯ মে ২০১৭

সুপ্রিম কোর্টের লিলি ফোয়ারা চত্বরে ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন এবং সারাদেশের মূর্তি অপসারণের দাবিতে বক্তৃতাদানকারী দুই জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে করা রিট আবেদনের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট।

সারাদেশ থেকে ‘মূর্তি’সরানোর দাবি জানিয়ে বক্তৃতা দেয়ায় মুফতি রেদুয়ানুল বারী সিরাজী এবং নূর হোসেন কাসেমীর বিরুদ্ধে রিটে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল।

রিটে ধর্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মুফতি রেদোয়ানুল নবী সিরাজী ও হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসেন কাসেমীকে বিবাদী করা হয়েছে।

ব্যক্তিগতভাবে দায়ের ওই রিট আবেদনের শুনানিতে সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন। রিটকারী আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, রিটে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে লিলি ফোয়ারা চত্বরে গ্রিক দেবীর মূর্তি পুনঃস্থাপন, সারাদেশ থেকে ভাস্কর্য অপসারণসহ দেশের সকল মূর্তি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশের ভাস্কর্য রক্ষারও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায় সাংবাদিকদের জানান, রিটের শুনানিতে দুই বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন এবং কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে রিটকারী আবু ইয়াহইয়া দুলাল বলেন, আদালত রিটের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন। কিন্তু কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন কি না সেটি বলেননি। এখন রিটটি শুনানির জন্য অন্য কোনো কোর্টে উপস্থাপন করা হবে।

গতকাল (রোববার) হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল। আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের লিলি ফোয়ারা চত্বর থেকে অপসারিত ভাস্কর্য় পুনরায় সেখানে স্থাপনের আর্জি জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সব মূর্তি অপসারণের দা্বি করায় খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মুফতি রেদোয়ানুল বারী সিরাজী ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম সভাপতি নুর হোসেইন কাসেমীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ভাস্কর্য সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়।

মুফতি রেদোয়ানুল বারী সিরাজী ও নুর হোসেইন কাসেমীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করার কারণ জানতে চাইলে আবু ইয়াহইয়া দুলাল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর পর তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু আবার দেশের সকল মূর্তি সরানোর দবি তুলেছেন। এই ধরনের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তাই তাদের আদালতে বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশনা প্রদানের আবেদন করেছি।

এফএইচ/এনএফ/এমএমজেড/ওআর/আরআইপি