ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ২৮ মে ২০১৭

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মেমোরিয়াল ভবন সংস্কার ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঝিনাইদহের গৃহায়ন ও গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মেমোরিয়াল ভবন সংস্কার ও যথাযথভাবে সংরক্ষণে চাওয়া প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে প্র্রকৌশলীকে।

এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি এবং এআরএম কামরুজ্জামান কাকন।

পরে আইনজীবী আলতাফ সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটি কী অবস্থায় আছে এবং ভবন সংস্কারে কি কি প্রয়োজন-সব বিষয় তদন্ত করে ২৩ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরবর্তীতে ভবন সংস্কারে অন্তবর্তীকালীন একটি আদেশও দেয়া হয়। এসব আদেশের কোনোটিই প্রতিপালন না করায় তা আদালতের নজরে আনা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আদালত ঝিনাইদহের গৃহায়ন ও গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে তলব করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা তুলে ধরা হয়। পরে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ভবনের সংস্কার ও সংরক্ষণ চেয়ে গত ২২ জানুয়য়ারি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘সমাজের প্রতি যুব উদ্যোগ’র সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ।

পরদিন এ রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মেমোরিয়াল ভবন কেন সংস্কার ও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

সংস্কৃতি সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহের মহেশপুরের গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ওই দিন আইনজীবী বলেছিলেন, ‘জাতির জন্য, জাতির স্বাধীনতার জন্য তারা আত্মদান করেছেন। যদি তাদের স্মৃতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে যাবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার জন্যও ঐতিহাসিক স্থান-স্থাপনা বা স্মৃতি সংরক্ষণ-সংস্কার করা প্রয়োজন।’

রিটকারী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধে তার আত্মদানের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য তিন শতাংশ জমির ওপর ১৯৮১ সালে এ ভবনটি গড়ে তোলা হয়। কিন্তু অযত্ম-অবহেলা, সংস্কারের অভাবে এর সবকিছুই বিনষ্ট হতে চলেছে। বিনষ্ট হওয়া থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্মৃতি রক্ষার সার্থেই এ রিট আবেদন করা হয়।

এফএইচ/এএইচ/জেআইএম