বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ১৩৮ চিকিৎসককে পুনর্বহালের নির্দেশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৩৮ জন চিকিৎসককে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সঙ্গে আরও ২ জনের আপিল আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এই নিয়ে মোট ১৪০ জনের চাকরি পুনর্বহাল করা হলো।
একই সঙ্গে ২০১৬ সালের যে সময় থেকে তারা চাকরিচ্যুত ছিলেন সেই পুরো সময়টা ছুটিতে ছিলেন বলে গণ্য করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
১১ বছর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত এই চিকিৎসকদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি আপিলের শুনানি শেষ করে রোববার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
গত ১৭ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়, আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। আজ নির্ধারিত দিনে আদালত এই রায় দেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন, শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানি হোসেন সাওন।
অন্যদিকে বিএসএমএমইউয়ের পক্ষে শুনানি করেন রষ্ট্রের প্রধান আইনী কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীবউল আলম।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, চাকরির ধারাবাহিকতাসহ এসব চিকিৎসককে অবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
তবে এ চিকিৎসকরা যতদিন চাকরি থেকে বাইরে ছিলেন ওই সময়ে অবৈতনিক ছুটি হিসেবে গণ্য হবে বলে রায়ে বলেছেন আদালত।
২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। ওই বছর ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েকশ চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানির পর আপিল বিভাগ গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
এই খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১১০ জন চিকিৎসক আবেদন (রিভিউ) করেন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ রিভিউ গ্রহণ করে আপিল করার অনুমতি দেন।
এরপর ওই চিকিৎসকরা পৃথক পাঁচটি আপিল করেন, যার ওপর শুনানি ১৭ মে শেষ করে রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়।
এফএইচ/এনএফ/এমএস