ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সাফাতের দেহরক্ষী

প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ২০ মে ২০১৭

বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না বলে জানালেন তদন্তকারী অফিসার।

শনিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে রহমতকে (আবুল কালাম আজাদ) ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে তদন্তকারী অফিসার। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা তদন্তকারী অফিসার ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি জাগো নিউজকে বলেন, তিন দিনের রিমান্ডে রহমতের কাছ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করা যাবে না।

এর আগে মঙ্গলবার রহমতকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ মে) রাজধানীর গুলশান থেকে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ বলেন, ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে হোটেল পিকাসোতে ভিকটিম দুই তরুণীর সঙ্গে বন্ধু সাদমান সাকিফের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথন হতো। ২৮ মার্চ সাদমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে আমন্ত্রণ জানান সাদমান। পার্টিতে আসার পর তারা সুইমিং পুলে গোসল করেন। এরপর দুই তরুণীকে নিয়ে সাফাত ও নাঈম দুই রুমে যান। রুমে কথা বলতে বলতে দুই তরুণীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হন। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সে সময় দুই তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুই তরুণীকে তারা বোঝান। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।

এর আগে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদকে ছয়দিন এবং সাদমান সাকিফকে পাঁচদিনের রিমান্ডে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুই তরুণী। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)। বর্তমানে নাঈম আশরাফ ও বিল্লাল রিমান্ডে আছেন।

জেএ/জেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন