ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চ্যারিটেবল দুর্নীতি : খালেদার মামলায় আদালত বদলি

প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ মে ২০১৭

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বদলি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বকশীবাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত চলছিল।

একই সঙ্গে মামলার কার্যক্রম ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সাহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডেভোকেট খুরশীদ আলম খান।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ১৪ মে রোববার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটির বিচারিক আদালত বদলির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বুধবার আদালত নির্ধারণ করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলি করার আদেশ দিয়েছেন।

গত ১৫ মে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি অভিযোগে দুদকের করা মামলা বকশীবাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তর করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

জাকির হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে এর আগে খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই আদালতে এই মামলাটির ন্যায়চার পাওয়া নিয়েও আমাদের সংশয় রয়েছে। এ কারণেই আমরা আবেদনটি করেছিলাম।’

আদালত পরিবর্তনের এই আবেদনটি আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়। সেই খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে ১৫ মে হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, দুদকের পক্ষের ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুদক।

খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার বাকি চার আসামি হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ এ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

এফএইচ/এমএমএ/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন