ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে মামলা : বাদীকে তলব

প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৬ মে ২০১৭

শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে কেন মামলা করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে মামলার বাদী হাবিবুর রহমানকে সশরীরে তলব করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম মামলার বাদীকে ২৮ মে আদালতে তলব করেন।

সেই সঙ্গে অভিযোগপত্রে শিশু ও মৃত ব্যক্তির নাম কেন দেয়া হয়েছে সে বিষয় ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে ২৩ মে আদালতে ব্যাখ্যা দেয়ার দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক মারুফুল ইসলামের আদালতে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করেন।

এর আগে ৯ মে রাজধানীর মিরপুর থানায়  একটি চুরি ও মারামারি মামলার অভিযোগপত্রে রুবেল নামে ১১ মাসের শিশু ও মৃত আরিফুর রহমানের নাম কেন অভিযোগপত্রে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম।

এর আগে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি রুবেল গত বছরের ৬ জুন জন্মগ্রহণ করে। অপরদিকে আরিফুর রহমান ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মারা যান। ওই দুজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মিরপুরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মামলা করে। মামলা দায়েরের সময় রুবেলের বয়স ছিল ২০ দিন এবং আরিফুর রহমান ঘটনার তিন বছর আগে মারা যান।

২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই ব্যক্তিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নবজাতকের বাবা আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছোট ছেলে রুবেল। যার বয়স ১১ মাস। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ২০ দিন। কীভাবে এতো ছোট বাচ্চা মারামারি আর চুরি করতে পারে?

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুবেলকে অভিযোগপত্রে ৩০ বছর দেখিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় চুরি ও মারামারির অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় ১১ মাসের শিশু এবং মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

একইসঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুবুল আলম ও ওসি (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া মিরপুর জোনের ডিসি এবং এডিসিকে সতর্ক করা হয়েছে।

জেএ/জেডএ/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন