খালেদার অরফানেজ দুর্নীতি মামলা নতুন আদালতে
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আদালত বদল করা হয়েছে। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ (মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে) বদলি করা হয়েছে। আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ১৪ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক আদালত বদলির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত নির্ধারণ করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলি করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছিল। তবে এ আবেদন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্ট বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য পাঠান। কিন্তু বিচারক এ মামলার অভিযোগ দাখিলের সময় দুদকের পরিচালক ছিলেন বিধায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি এ বিচারকের ওপরও অনাস্থা প্রকাশ করেন। শুনানি শেষে গত রোববার হাইকোর্ট কামরুল হাসান মোল্লার আদালতের প্রতিও অনাস্থার আবেদন গ্রহণ করে বিচারক পরিবর্তনের আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
এফএইচ/জেডএ/এএইচ/এমএস