ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ১৬ মে ২০১৭

রাজধানীর শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার গাড়িচালক হারুনুর রশীদ হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার চুতর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস প্রদার করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- রায়হান খোকন (পলাতক), জাকির হোসেন ওরফে কালা জাকির, জাবেদ, আরিফ হোসেন, জুম্মুন ও হীরা (পলাতক)।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- শরিফুল ইসলাম ও আমির হোসেন। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

খালাসপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- শাহ আলম, শফিকুল আলম ওরফে সুমন, ইমন ওরফে কালু মিয়া ও মিলন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রাজধানীর ৫৩নং (সাবেক ৮৯) ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মামলার আসামি রায়হান খোকন ও ভিকটিম মোহাম্মদ উল্লাহ ওই ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম মামলার ভিকটিম মোহাম্মদ উল্লাহকে কাউন্সিলর পদে প্রকাশ্যে মনোনয়ন প্রদান করেন। মামলার আসামি রায়হান খোকন তা মেনে নিতে পারেননি। ফলে রায়হান খোকনের সঙ্গে ভিকটিমের শত্রুতা শুরু হয়। মামলার আসামিরা তাদের পথের কাঁটা সরানোর জন্য ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে কদমতলী থানাধীন কমিশনার রোডে মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার গাড়িচালক হারুনুর রশীদকে গুলি করে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ উল্লার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর বর্তমান ডিবি পুলিশের কমিশনার রুহুল আমিন ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ২০১১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

মামলায় বিভিন্ন সময় চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ২৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

জেএ/এমএআর/আরআইপি