সাত খুন মামলা : পলাতকদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৫ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং অফিসকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
সাত খুন মামলার পলাতক ৫ আসামি হলেন- সৈয়দ মহিউদ্দিন মুন্সি, আল-আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম, সানাউল্লাহ খান ও শাহজাহান।
জহিরুল হক জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আত্মসমর্পণ করে আপিল করেছেন। আপিলে তাদের বিলম্বের আবেদন মওকুফ হওয়ার পর পলাতক আরও ৫ জনের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের এ নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ বিষয়ে গত ১১ মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন ১৫ মে’র মধ্যে পলাতক আসামিদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত। সেই তথ্য পাওয়ার পর আজ (মঙ্গরবার) এ আদেশ আসলো।
গত ২২ জানুয়ারি ওই ঘটনায় দুটি মামলার ডেথ রেফারেন্সের কপি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন। পরে ২৯ জানুয়ারি মামলার পেপার বুক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তৈরির জন্য নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সেই অনুযায়ী গত ৭ মে ৬ হাজার পৃষ্ঠার পেপার বুক বিজি প্রেস থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায় প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাব থেকে বহিষ্কৃত তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেফতার ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে এবং ৫ জন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম