ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাঈদী সবচেয়ে বেশি ধূর্ত : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৫ মে ২০১৭

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলের রায়ের রিভিউতে আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল থাকা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন সবচেয়ে বেশি ধূর্ত।’

সোমবার সাঈদীর রায়ের রিভিউ খারিজের পর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল।

‘সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল’- এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘তার দণ্ড না হওয়ায় চিরদিনের জন্য আমার মনে ব্যথা ও দুঃখ থেকে যাবে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাই হোক সর্বোচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছেন সে আদেশ সবার জন্য শিরোধার্য। তবে আমার মনে একটা ব্যথা রয়ে যাবে। সাঈদীর মতো একটা লোক তার যে দণ্ড পাওয়া উচিত ছিল সে দণ্ড সে পেল না।’

প্রসিকিউশনের ওপর দোষ চাপিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আদালতের উপর দোষ না দিয়ে প্রসিকিউশনের যেভাবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের দরকার ছিল সেটা করা হয়নি বলে আজ আমরা ফাঁসির আদেশ পেলাম না।’

‘আদালতের রায় মান্য’ উল্লেখ করে মাহবুলে আলম বলেন, ‘প্রতিটি ব্যক্তির একটি ব্যক্তিগত আবেগ আছে। চিরদিনের জন্য একটা দুঃখ আমার রয়ে যাবে, যুদ্ধাপরাধী যে ক’জনের ফাঁসি হয়েছে তাদের ভেতরে সাঈদী হলো শিরোমণি। সবচেয়ে বেশি ধূর্ত। সবচেয়ে বেশি আমাদের মানবসভ্যতার জন্য ক্ষতিকারক। আমাদের দেশের জন্য এবং মানবসভ্যতার জন্য ক্ষতিকারক। অথচ সে লোকটির ফাঁসি হলো না। এটা আমার দুঃখ। আদালতের ওপর দোষ দিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ মামলার তথ্য সংগ্রহের জন্য বরিশাল ও পিরোজপুরে গিয়েছিলাম। এ খবর পেয়ে সাঈদীর ছেলেরা আমার পেছনে লোক লাগিয়েছিল। তারা আমাকে ফলো করেছিল। সাঈদী খুবই ধূর্ত। ওই সময় একটি এসএমএস করা হয়েছিল আমাকে। সেটি দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পিরোজপুর ও বরিশাল ঘুরে সাঈদীর বিরুদ্ধে কোনো তথ্য না পেয়ে এক থানার সকল পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১১টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর করা আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

এর আগে সাঈদীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এফএইচ/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন