ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

২৮ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের রায় চেম্বারে বহাল

প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ১১ মে ২০১৭

অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২৮ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে টেকনো ড্রাগ লিমিটেডের আবেদন শুনানিত বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে টেকনো ড্রাগ লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আকতার হামিদ। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর আগে, গত ৪ মার্চ ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞসহ ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে এই ওষধু কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানি জিএমপি নীতিমালা অনুসরণ করছে তাদের লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিবেচনা করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২৮টি ওষুধ কোম্পানি হলো- অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লি., বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি., সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ডিসেন্ট ফার্মা লি., ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্রীনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ম্যাক্স ড্রাগস লি., ম্যাডিমেট ল্যাবরেটরিজ লি., মর্ডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লি., অর্গানিক হেলথকেয়ার লি., ওয়েস্টার ফার্মা লি., প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি., প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লি., সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., হোয়াইট হর্স  ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনাইটেড ক্যামিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., টেকনো ড্রাগস লি. ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘জিএমপি (গুড মেনুফ্যাকটরি প্রাকটিস)’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।

এফএইচ/জেডএ/বিএ