বনানীর ধর্ষিতার সালোয়ার কামিজ পরীক্ষার আবেদন
রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে এ আবেদনটি করেন বনানী থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। আবেদনের ওপর শুনানি আগামীকাল (বৃহস্পতবার) অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বনানী থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়েছে। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য বুধবার আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালত অনুমতি দিলে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী গত শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ৪০ দিন আগে ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী বিপর্যস্ত ছিলেন। মামলা করলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ও পুলিশ-র্যাবকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কারণে মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন তারা।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন ওই দুই ছাত্রী। মামলার আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ।
তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ছাত্রীর বন্ধু। অস্ত্রের মুখে তারা ওই দুই ছাত্রীকে জিম্মি করে হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে মারধর এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সেটা তারা ভিডিও করে। আসামিদের অপর তিনজন ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণ করে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার পর ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।
আব্দুল মতিন বলেন, মামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জেএ/এসএইচএস/জেআইএম