সাত খুনের পেপারবুক সুপ্রিম কোর্টে
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় করা মামলা হাইকোর্টে শুনানির জন্য প্রস্তুত পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছেছে। রোববার দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এখন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। দুই মামলার জন্য প্রস্তুত করা পেপারবুক প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার বলে জানা গেছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলায় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তারা হাইকোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন দায়ের করেন। এছাড়া নিম্ন (বিচারিক) আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠান হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য মামলার সকল নথি বিজি প্রেসে পাঠায়। এরপর বিজি প্রেস পেপারবুক প্রস্তুতির কাজ শুরু করে।
এর আগে, ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়। ওই দিন দুপুরের দিকে এসব নথি হাইকোর্টে পৌঁছায় বলে জানান অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে এবং পাঁচজন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২-এ রাখা হয়েছে।
এফএইচ/বিএ/পিআর