এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ফের স্থগিত
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৪ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ফের ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী। অপরদিকে এমপি রানার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রুশো মোস্তফা।
১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন স্থগিত করেছিলেন। একই সঙ্গে জামিন স্থগিত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর আজ শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছিলেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। একইসঙ্গে রানাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুলও জারি করেছেন আদালত।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। সংসদ সদস্য রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলায় রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রানার জামিন নাকচ করে দিলে তিনি হাইকোর্টে যান। বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে এমপি রানা। ফারুক হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে আগেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা রানা। পরে আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতও হন।
এফএইচ/জেডএ/ওআর/পিআর/জেআইএম