ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হবিগঞ্জের ৩ জনের অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়ে আদেশ ৩০ মে

প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের আব্দুল আজিজ ওরফে হাবলুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগ আমলে নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৩০ মে দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল (৬৪) ছাড়া এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- মো. আব্দুল মতিন (৬৩) এবং মো. আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই (৬৪)। এদের মধ্যে আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছেন।

রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশের এই দিন ঠিক করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

পরে সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি জাগো নিউজকে জানান, আগে সকালে পলাতক আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়।

২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলায় তদন্ত শুরু করে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ করেন মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ্জাহান। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, নির্যাতনসহ পাঁচ অপরাধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওই দিন পাঁচটি অভিযোগে ১১ ধরনের অপরাধের ৮৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ৪ ভলিয়মে ২৫০ পৃষ্ঠার নথি-পত্র ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে চার জন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর তিন জনকে হত্যা, এক জনকে কুপিয়ে গুরুতর যখম, এগার জনকে অমানবিক নির্যাতন, আটটি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন, তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ এবং দুই জনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। মামলায় মোট ৪০ জনের ঊর্ধ্বে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ জনকে সাক্ষী হিসেবে আনা হতে পারে ট্রাইব্যুনালে।

এফএইচ/এনএফ/আরআইপি

আরও পড়ুন