নাইকো দুর্নীতি : মওদুদের মামলা ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
আদালত বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের আদেশ ছাড়া এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আর বাড়ান হবে না। একই সঙ্গে তার আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান হলো।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ নিজেই শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ০১ ডিসেম্বর মওদুদের করা এক ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মওদুদ আহমদের নাইকো মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।
সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার তা খারিজ করে দেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম সচল হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার মওদুদ আহমদ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানান। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে তার রিভিশন আবেদনে উল্লেখ করেন, নাইকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি (নাইকো-বাপেক্স ও পেট্রো বাংলা) ওয়াশিংটনের সালিশি আদালতে বিচারাধীন। সালিশি আদালত গত বছরে ১৯ জুলাই এক আদেশ দেন। যে আদেশে বলা হয়, ওই আদালতে বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
ওয়াশিংটনের সালিশি আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা চলমান থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন মামলাটি স্থগিত চান মওদুদ।
নিম্ন আদালত গত ১৬ আগস্ট মওদুদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন। সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন তিনি। ২০০৭ সালে দায়ের করা এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ১১ জন।
এফএইচ/এমএআর/জেআইএম