বাকৃবি অধ্যাপকের অব্যাহতি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
পাঁচ শিক্ষার্থীর নকল ধরাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে দেয়া অব্যাহতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর রেজাল্ট প্রকাশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাকৃবির উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পাতিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনুন নাহার সিদ্দিকা এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানিতে অংশ নেন।
আইনজীবী রফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম স্ট্রাকচার ও এনভায়নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্স (এমএস জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৫) কোর্সের ১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ওই বিভাগের প্রধান ড. আনোয়ার হোসেনের কাছে তাদের থিসিস জমা দেন। তবে পাঁচজনের থিসিস নকল হিসেবে প্রতীয়মান হয়। পরে ড. আনোয়ার বিয়ষটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানান।
কিন্তু প্রশাসন তার এ অভিযোগ আমলে না নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করে। নকল ধরায় ও অভিযোগ দেয়ায় উল্টো ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অব্যাহতির আদেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গত ১২ এপ্রিল এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ড. আনোয়ার হোসেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন আদালত।
এফএইচ/এমএমএ/আরএস/জেআইএম