মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা : এমপি রানার অন্তর্বর্তী জামিন
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। এর আগে চার দফায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন রানা।
এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
সর্বশেষ ৩০ মার্চ এমপি রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট তার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর রহমান রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।
এফএইচ/এমএআর/আরআইপি