১৫ মিনিট একান্তে ঐশীর কথা শুনলেন বিচারকরা
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে খাস কামরায় নিয়ে ১৫ মিনিট একান্তে তার বক্তব্য শুনেছেন বিচারকরা। পরে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় ঐশী ভাবলেশহীন অবস্থায় তাকিয়ে ছিল।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির করা হয় ঐশীকে। এরপর ঐশীর সঙ্গে একান্তে কথা বলার জন্য তাকে খাস কামরায় নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় ১৫ মিনিট ঐশীর সঙ্গে দুই বিচারপতি কথা বলেন। এ সময় ঐশী ও রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ঐশী চলে যাওয়ার পর এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল ঐশীকে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘তার (ঐশী) বিরুদ্ধে মামলা চলছে, এ বিষয়ে সে জানে কিনা এবং তার মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে আদালত তাকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশী রহমানকে দুবার মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। এছাড়া ঐশীকে আশ্রয় দেয়ায় তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন আদালত।
নিজের বাবা-মাকে হত্যার প্রধান আসামি পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের একমাত্র মেয়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের সাজার খালাস চেয়ে করা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল আবেদন হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় ছিল। একইসঙ্গে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ঐশীর আইনজীবী। সেই ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গত ১২ মার্চ হাইকোর্টে শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট নিজ বাসা থেকে স্ত্রী স্বপ্না রহমানসহ মাহফুজুর রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওই দিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছর ২৪ আগস্ট ঐশী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে পরে তিনি ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
এফএইচ/জেএইচ/পিআর