ঐশীকে হাইকোর্টে হাজির
হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে ঐশীকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ চ্যাটার্জী জাগো নিউজকে বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ প্রহরায় সোমবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঐশীকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল ঐশী মানসিকভাবে অসুস্থ কি না-তা পর্যবেক্ষণের জন্য হাইকোর্টে হাজির করতে কারা মহাপরিদর্শকে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।
পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ওই বছরের ১৯ নভেম্বর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে।
একই সঙ্গে ঐশীকে আশ্রয় দেয়ায় তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন আদালত। পরে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ঐশীর আইনজীবী আপিল আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে একটি বাসা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার কিরা হয়। ওইদিন ঐশী বাসা ছিলেন না। এ ঘটনার পরদিন পরদিন গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী।
পরে বড়ভাই হত্যার ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওইদিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৯ মার্চ ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র এবং নিহতদের বাসার শিশু গৃহকর্মী সুমীর বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
পরে ওই বছরের ৬ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রথমে ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি (নিষ্পত্তি) বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।
ট্রাইব্যুনাল একই বছরের ৩০ নভেম্বর আবারও অভিযোগ গঠন করেন। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। ঐশী আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে।
এফএইচ/এমএমএ/জেআইএম