রিভিউতে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা সাঈদীর
রিভিউতে ন্যায়বিচার পাবেন দাবি করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সাঈদী মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের রিভিউতে ন্যায়বিচার হবে এবং তিনি অবশ্যই অভিযোগ থেকে খালাস পাবেন।
সাঈদীর আমৃত্যু দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) বিষয়ে পরামর্শ করতে বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে সাঈদীর সঙ্গে তার আইনজীবীরা দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করেন সাঈদীর তিন আইনজীবী ও এক ছেলে। আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান, মতিউর রহমান আকন্দ ও পারভেজ হোসেন। ৪৫ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।
অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান বলেন, সাঈদী সাহেব সবকিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এছাড়া আইনজীবীদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে মামলায় থাকা সাক্ষীর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান আরও জানান, সাঈদী সাহেব বিশ্বাস করেন রায়ে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং অবশ্যই মুক্ত হয়ে কোরআনের ময়দানে ফিরবেন। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন। তিনি কারাগার থেকে দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন এবং সালাম জানিয়েছেন।
সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, বিশাবালী হত্যার অভিযোগে আমাকে দণ্ড দিলেও প্রসিকিউশনের কোনো সাক্ষী তা স্বীকার করেননি। কিন্তু শুধু আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সাক্ষীর মাধ্যমে আমাকে সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ বিশাবালীর আপন ভাই আমার পক্ষে সাক্ষী দিতে চাইলে তাকে তুলে নেয়া হয়। সরকার আমার সাক্ষীর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিল না। তাই আমার আব্বা বলেছেন- এসব বিষয়ে রিভিউ শুনানিতে সঠিকভাবে তুলে ধরলে ন্যায়বিচার পাবেন।
মাসুদ সাঈদী জানান, রিভিউ শুনানির কোন কোন পয়েন্টে বা যুক্তি তুলে ধরবেন প্যানেল ল’ইয়াররা প্রস্তুতি কী রকম এসব বিষয়গুলো বাবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন আইনজীবীরা। বাবার কিছু পরামর্শ বা গাইডলাইন আইনজীবীদেরও বলেছেন।
এদিকে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের পরিবর্তে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে সাঈদীর পক্ষে সাজা কমিয়ে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। সেই দুই রিভিউ শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের তালিকার ১৩৮ নম্বরে রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আদালত সাঈদীর এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে দীর্ঘ ১৫ মাস পর। রায় প্রকাশের পর এ মামলার পক্ষসমূহের রিভিউ আবেদন করার পথ তৈরি হয়।
এফএইচ/বিএ