সাঈদীর মামলার রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার, আশা অ্যাটর্নির
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে করা রিভিউ এবং দণ্ড বহাল রাখার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ ৬ এপ্রিল শুনানি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি ধারণা করছি আগামী বৃহস্পতিবার সাঈদীর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আজ মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের কার্যতালিকার ১৪৭ নম্বরে ছিল। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, এই দুই দিনে আমরা আরও ঝালাই করে নিতে পারব। আশা করছি বৃহস্পতিবার মামলায় রিভিউ শুনানি হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের (পুনর্বিবেচনা) রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছিলেন সাঈদী। অপরদিকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। এই দুই আবেদন আজ সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় ছিল আজ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল এ দুই রিভিউয়ের শুনানি।
২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালাস চেয়ে রিভিউ করেছিলেন সাঈদী।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।
২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম