ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

দায়িত্ব পালনে বাধা নেই মেয়র আরিফের

প্রকাশিত: ০৫:১৫ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৭

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

ফলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রইলো আপিল বিভাগেও। ফলে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আরিফুল হক চৌধুরীর সামনে আপাতত আর কোনো বাধা নেই।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ (কোনো আদেশ নয়) দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে মেয়র আরিফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

এ বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরের পর ১৩ মার্চ হাইকোর্ট সরকারের আদেশ স্থগিত করেন। এছাড়াও রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম আসায় ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে বরখাস্তের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আরিফুল।

বরখাস্তের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ ও তা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন শুনানি শেষে হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিল। পাশাপাশি বরখাস্তের ওই আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

২০১৩ সালে ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান আরিফুল হক চৌধুরী।

কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

দীর্ঘ কারাবাসের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন। এরপর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আরিফুল হক চৌধুরীকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এফএইচ/এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন