ডাকসু নির্বাচন কেন নয় : হাইকোর্ট
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিগত ২৬ বছর ধরে নির্বাচন না করতে পারাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। পরে তিনি রুলের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় গত ১৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক মোশতাক হোসাইন, বর্তমান শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান নাদিম রিট আবেদনটি করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, নির্বাচন না দিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সায়ত্ত্বশাসন আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদনটি করা হয়। ১৯৯০ সালে সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালনকারীরা নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। ২৭ বছর ধরে ঝুলে আছে নির্বাচন না করতে পারার বিষয়টি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন সংগঠন দাবি করে আসছে।
এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম